শিরোনাম :
শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে, দলীয়ভাবেও আওয়ামী লীগের বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল উত্তরের অচেনা বিস্ফোরণ: লেবাননে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় নিহত ৩, আহত ১৩ কারামুক্তির পর পর্দায় ফেরার বার্তা: ‘জ্বীন-৩’ দিয়ে ফিরলেন নুসরাত ফারিয়া জামায়াতের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ চীন সফরে জাতীয় সমাবেশে জামায়াতের বার্তা: ৭ দফা দাবিতে বড় গণসমাবেশের প্রস্তুতি বাস রুট পারমিট নিয়ে ঢাকার পরিবহন খাতে অস্থিরতা, সিদ্ধান্তহীনতায় আরটিসি বরিশালে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, অচল জনজীবন নিঃসঙ্গ জীবনের করুণ পরিণতি: পাকিস্তানে অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের পচনধরা লাশ উদ্ধার ব্যাটিং বিপর্যয়ে সিরিজ হাতছাড়া, হতাশ মিরাজ জানালেন ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা পুনরায় মহাসংঘর্ষ: রিয়াল-পিএসজির দ্বৈরথে আজ ইতিহাস লিখবে কে?

আদালত অবমাননায় শেখ হাসিনার ছয় মাসের কারাদণ্ড: আইসিটি’র ঐতিহাসিক রায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫
  • ৭ বার
আদালত অবমাননায় শেখ হাসিনার ছয় মাসের কারাদণ্ড: আইসিটি’র ঐতিহাসিক রায়

প্রকাশ: ২রা জুলাই ২০২৫। নিজস্ব সংবাদদাতা । আজকের খবর অনলাইন

আজ বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (আইসিটি) বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আদালত অবমাননার অভিযোগে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন। অপর দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী ।

এই মামলার অপর আসামি, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুল ওরফে মো. শাকিল আলমকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার পটভূমিতে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় তাঁকে প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন করা হয়। আদালত অবমাননার মামলাটি সেই প্রেক্ষাপটেই উঠে আসে, যেখানে শেখ হাসিনা একটি বক্তব্যে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি”। এই বক্তব্যের অডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে এর সত্যতা নিশ্চিত করে ।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, শেখ হাসিনাকে ১৫ মে’র মধ্যে জবাব দাখিল করতে বলা হয়। তবে তিনি বা তাঁর আইনজীবী আদালতে হাজির না হওয়ায়, ট্রাইব্যুনাল তাঁর পক্ষে একজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবী আমিনুল গনি টিটুর পরিবর্তে আমির হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয় ।

শেখ হাসিনা বর্তমানে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনো ইন্টারপোল থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি ।

এই রায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও বিচারিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আদালত অবমাননার মামলায় একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের দণ্ডাদেশ দেশের বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই রায়ের মাধ্যমে আদালত প্রমাণ করেছে যে, আইনের চোখে সবাই সমান এবং কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

এই রায়ের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন।

এই মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ও শেখ হাসিনার অন্যান্য মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন। আমরা আপনাকে সর্বশেষ তথ্য ও বিশ্লেষণ প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫