শিরোনাম :
শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে, দলীয়ভাবেও আওয়ামী লীগের বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল উত্তরের অচেনা বিস্ফোরণ: লেবাননে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় নিহত ৩, আহত ১৩ কারামুক্তির পর পর্দায় ফেরার বার্তা: ‘জ্বীন-৩’ দিয়ে ফিরলেন নুসরাত ফারিয়া জামায়াতের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ চীন সফরে জাতীয় সমাবেশে জামায়াতের বার্তা: ৭ দফা দাবিতে বড় গণসমাবেশের প্রস্তুতি বাস রুট পারমিট নিয়ে ঢাকার পরিবহন খাতে অস্থিরতা, সিদ্ধান্তহীনতায় আরটিসি বরিশালে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, অচল জনজীবন নিঃসঙ্গ জীবনের করুণ পরিণতি: পাকিস্তানে অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের পচনধরা লাশ উদ্ধার ব্যাটিং বিপর্যয়ে সিরিজ হাতছাড়া, হতাশ মিরাজ জানালেন ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা পুনরায় মহাসংঘর্ষ: রিয়াল-পিএসজির দ্বৈরথে আজ ইতিহাস লিখবে কে?

বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের লুকানো পদার্থের সন্ধান পেলেন

আজকের খবর ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
  • ৬২ বার
বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের লুকানো পদার্থের সন্ধান পেলেন

প্রকাশ: ১৮ জুন, ২০২৫ | আজকের খবর ডেস্ক | আজকের খবর অনলাইন

মহাবিশ্বে আমাদের চোখে দৃশ্যমান সাধারণ পদার্থের পাশাপাশি একটি রহস্যময় ও অদৃশ্য পদার্থ রয়েছে, যাকে অন্ধকার পদার্থ বলা হয়। বহু বছর ধরে বিজ্ঞানীরা এই অন্ধকার পদার্থের সন্ধানে রয়েছেন কারণ এটি মহাবিশ্বের বৃহৎ অংশে গভীর প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু যেমন গ্যাস, ধূলা, তারা এবং গ্রহের মতো সাধারণ পদার্থ মহাবিশ্বের মাত্র প্রায় ১৫ শতাংশ গঠিত। তবে এই সাধারণ পদার্থেরও প্রায় অর্ধেক অংশ এখনো অন্বেষণের বাইরে, যাকে ‘নিখোঁজ পদার্থ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

সম্প্রতি, বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের ৬৯টি স্থান থেকে নির্গত শক্তিশালী রেডিও তরঙ্গের বিস্ফোরণের মাধ্যমে এই নিখোঁজ পদার্থের সন্ধান পেয়েছেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লিয়াম কনর জানান, বহুদিন ধরে তারা অনুসন্ধান করছেন যে এই নিখোঁজ পদার্থ কোথায় লুকানো থাকতে পারে। তাদের ধারণা, এই পদার্থগুলি আমাদের ছায়াপথ থেকে অনেক দূরে ছড়িয়ে থাকা বিশৃঙ্খল মহাজাগতিক জালে অবস্থান করছে। এই অন্ধকার পদার্থ মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় একটি রহস্য, কারণ এটি অধিকাংশ পদার্থের উৎস হলেও, এর প্রকৃত কণা বা উপাদান এখনো অজানা।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নিখোঁজ পদার্থের একটি অংশ আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের চারপাশে ছড়িয়ে আছে। সাধারণ পদার্থ মূলত বেরিয়ন দিয়ে গঠিত, যা প্রোটন ও নিউট্রন এর সমন্বয়ে তৈরি। মহাবিশ্বের বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঘটনায় যেমন সুপারনোভা বিস্ফোরণ বা ছায়াপথের কেন্দ্রে থাকা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের গ্যাস নির্গমনের ফলে প্রচুর পরিমাণে পদার্থ মহাজাগতিক স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এই গ্যাসগুলো তারার জন্মের জন্য কাঁচামাল হিসেবে কাজ করে।

লিয়াম কনর আরও বলেন, যদি মহাবিশ্ব অন্য রকম হতো বা পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম ভিন্ন হতো, তাহলে আমরা সহজেই সাধারণ পদার্থ দেখতে পেতাম। তবে বাস্তবতা এমন নয়। এই পদার্থগুলি মহাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা অবস্থায় ঠান্ডা হয়ে যায় এবং তারা তৈরি করতে সক্ষম হয় না। তাই, এই পদার্থগুলি এতদিন ধরে আমাদের দৃষ্টির বাইরে থেকে আসছিল।

নিখোঁজ সাধারণ পদার্থের পরিমাপ ও শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়েছে ফার্স্ট রেডিও বার্স্ট (এফআরবি) ঘটনা। এই ঘটনা হলো মহাবিশ্বের দূরবর্তী অংশ থেকে আসা রেডিও তরঙ্গের এক ধরণের শক্তিশালী স্পন্দন। যদিও এই তরঙ্গের উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনো জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হয় এগুলো শক্তিশালী চৌম্বকীয় নিউট্রন তারা থেকে আসতে পারে। যখন এই রেডিও তরঙ্গ মহাবিশ্বের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে, তখন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে বিভিন্ন রকমের ছড়িয়ে পড়া ঘটে, যা থেকে জানা যায় আলোর পথে কতটা পদার্থ রয়েছে।

এই অনুসন্ধান ও গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, মহাবিশ্বের অদৃশ্য এবং নিখোঁজ পদার্থের গোপন রহস্য উন্মোচনের ক্ষেত্রে আমরা ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। এই পদার্থ সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য আবিষ্কার হলে আমাদের মহাবিশ্বের প্রকৃতি ও তার সৃষ্টির ইতিহাস সম্পর্কে অনেক নতুন দিক উন্মোচিত হবে।

সূত্র: এনডিটিভি

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫