প্রকাশ: ১৭ জুন, ২০২৫ | আজকের খবর ডেস্ক | আজকের খবর অনলাইন
তেহরানে ইসরায়েলের প্রতিদিনের হামলা ও ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রেখে ২১৪ জন পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ইরান থেকে নিজ দেশে ফিরে এসেছেন। সিএনএনের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছেন বেলুচিস্তান প্রদেশের তাফতান সীমান্ত এলাকার সহকারী কমিশনার কাসিম শাহওয়ানি।
সোমবার (১৭ জুন) তেহরান থেকে পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত তাফতান ইমিগ্রেশন চৌকিতে এসব শিক্ষার্থী পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। সহকারী কমিশনার জানান, তাফতান সীমান্ত দিয়ে একই দিনে আরও প্রায় ৫০০ ধর্মীয় তীর্থযাত্রী দেশে ফিরেছেন। ফেরত আসা সব ব্যক্তিকে যথাযথ ইমিগ্রেশন, নিবন্ধন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে, যাতে সম্ভাব্য কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি বা নিরাপত্তা সংকটের দ্রুত মোকাবিলা সম্ভব হয়।
ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ইরান ভ্রমণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত।
এদিকে একই দিন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানে বসবাসরত ইরানিদের উদ্দেশে কোনো নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে শহরটি তাৎক্ষণিকভাবে খালি করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এমন হঠাৎ ও অস্পষ্ট সতর্কতা তেহরানের পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ের ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশেষ করে ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের জেরে শিক্ষার্থীদের এই প্রত্যাবর্তন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র নীতিতে নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক উত্তেজনা মোকাবিলায় পাকিস্তান সরকারকে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে পরিষ্কারভাবে প্রতিফলিত হয়েছে—যেকোনো আন্তর্জাতিক সংঘাত সরাসরি নিরপরাধ সাধারণ মানুষের জীবন ও শিক্ষাজীবনকে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি এখন নতুনভাবে ভাবনার জায়গা তৈরি করেছে পাকিস্তান সরকারের জন্য।