শিরোনাম :
ইরানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে চায় ইসরায়েল: প্রতিবেদন তেহরানের হৃদয়ে অপারেশন: ইরানের গভীরে ইসরায়েলের নিখুঁত হামলার পেছনের গোয়েন্দা কৌশল উদ্ঘাটন হাইফা বন্দরে ইরানের হামলা: মোদির আদানি খাতায় ‘আগ্নেয়’ ক্ষতির হিসাব শুরু! ১৪ বছরের জর্জ স্টিন্নি: ইতিহাসের নৃশংস বিচারবিভাগীয় হত্যাকাণ্ড ইরান দাবি করল ১৩টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত: যুদ্ধক্ষেত্রের পাল্টা ভারসাম্য না কি মধ্যপ্রাচ্যীয় ভূরাজনীতির নতুন মোড়? মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ-ভূমিতে ইরান-ইসরাইল সংঘর্ষ: কূটনৈতিক চাপ, সামরিক বাস্তবতা ও বাংলাদেশের করণীয় সিলেটে উপদেষ্টা বহর আটকে ক্ষুব্ধ জনতার বিক্ষোভ দেশে ফিরলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস তারেক রহমান ও অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক ঘিরে ভূরাজনৈতিক বার্তা: ভারতের ভূমিকা নিয়ে শঙ্কা ও আঞ্চলিক সমীকরণে নতুন মোড় ইরানের সেনাপতি বাঘেরির হত্যাকাণ্ড: মধ্যপ্রাচ্যে বিস্ফোরণমুখী উত্তেজনা, বিশ্ব কি বৃহৎ যুদ্ধে ধাবিত হচ্ছে?

ইরানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে চায় ইসরায়েল: প্রতিবেদন

আজকের খবর ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫
  • ২ বার

প্রকাশ: ১৫ জুন, ২০২৫ | আজকের খবর ডেস্ক | আজকের খবর অনলাইন 

ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েল—এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস-এর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল বর্তমানে এমন এক পরমাণু স্থাপনার ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে যা তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার বাইরে। আর এ কারণেই তারা যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চায়, বিশেষ করে ভয়ঙ্করভাবে সুরক্ষিত ও কঠিনভাবে প্রবেশযোগ্য ইরানের ‘ফোর্ডো’ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাটিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে।

ফোর্ডো স্থাপনাটি ইরানের একটি পাহাড়ের গভীরে অবস্থিত। ফলে এটি সাধারণ বোমার আঘাতে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত গভীর-পাহাড় বিধ্বংসী অস্ত্রভাণ্ডার এবং সুনির্দিষ্ট টার্গেট করার প্রযুক্তির ওপর ইসরায়েলের নির্ভরতা দিন দিন বাড়ছে। অ্যাক্সিওস জানায়, ইসরায়েল সরাসরি ওয়াশিংটনের কাছে সামরিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তারা এই অত্যন্ত সুরক্ষিত স্থাপনাটিকে কার্যকরভাবে আঘাত হানতে পারে।

মার্কিন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ইসরায়েল এখন স্পষ্টভাবেই চাচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে একত্রে ইরানবিরোধী সামরিক অভিযানে অংশ নিক। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এই মুহূর্তে এমন আহ্বানকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে না। বরং মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্কারভাবে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবে সরাসরি জড়িত নয়।

তবে বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন বক্তব্যও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক এক আলোচনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, পরিস্থিতি জটিল হলে এবং প্রয়োজন দেখা দিলে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো অফিসিয়াল বিবৃতিতে এই বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি।

এদিকে গত শুক্রবার ভোররাতে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ও বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এসব হামলার পেছনে ইসরায়েলের ভূমিকা রয়েছে। যদিও ওয়াশিংটনের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এসব হামলা ইসরায়েল একাই পরিচালনা করেছে।

এই পুরো ঘটনার সূত্রপাত এবং সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে উত্তেজনা বেড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য আরও বড় সংঘাতের আশঙ্কা এখনো কাটেনি। ইরান-ইসরায়েল সম্পর্কের বর্তমান টানাপোড়েন এবং ওয়াশিংটনের অবস্থান নিয়ে বৈশ্বিক পর্যায়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। একইসাথে প্রশ্ন উঠছে, যুক্তরাষ্ট্র আদৌ একটি সরাসরি সামরিক সংঘাতে জড়াবে কিনা এবং এতে মধ্যপ্রাচ্য আরও অস্থিতিশীল হবে কি না, সেটিই এখন সময়ের বড় প্রশ্ন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫