শিরোনাম :
শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে, দলীয়ভাবেও আওয়ামী লীগের বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল উত্তরের অচেনা বিস্ফোরণ: লেবাননে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় নিহত ৩, আহত ১৩ কারামুক্তির পর পর্দায় ফেরার বার্তা: ‘জ্বীন-৩’ দিয়ে ফিরলেন নুসরাত ফারিয়া জামায়াতের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ চীন সফরে জাতীয় সমাবেশে জামায়াতের বার্তা: ৭ দফা দাবিতে বড় গণসমাবেশের প্রস্তুতি বাস রুট পারমিট নিয়ে ঢাকার পরিবহন খাতে অস্থিরতা, সিদ্ধান্তহীনতায় আরটিসি বরিশালে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, অচল জনজীবন নিঃসঙ্গ জীবনের করুণ পরিণতি: পাকিস্তানে অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের পচনধরা লাশ উদ্ধার ব্যাটিং বিপর্যয়ে সিরিজ হাতছাড়া, হতাশ মিরাজ জানালেন ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা পুনরায় মহাসংঘর্ষ: রিয়াল-পিএসজির দ্বৈরথে আজ ইতিহাস লিখবে কে?

মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে যুক্তরাষ্ট্র, ইরানের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনায় প্রস্তুতি চলছে!

আজকের খবর ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
  • ১৬ বার
মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে যুক্তরাষ্ট্র, ইরানের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনায় প্রস্তুতি চলছে!

প্রকাশ: ১৮ জুন, ২০২৫ | আজকের খবর ডেস্ক | আজকের খবর অনলাইন

নিম্নে আন্তর্জাতিক সংবাদ উত্স থেকে সংগৃহীত সাম্প্রতিক তথ্যের আলোকে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান বিশ্লেষণ করে উত্থাপিত প্রবন্ধটি তুলে ধরা হলো:

যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান–ইসরায়েল উত্তেজনার পটভূমিতে কার্যত দ্বৈত ভূমিকা পালন করছেন। একদিকে তিনি কূটনীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন: বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “আমরা একটি কূটনৈতিক সমাধানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,” । অন্যদিকে, মাত্র ১৪ ঘণ্টা পর ইসরাইল ইরানে প্রথম আঘাত করে, আর ট্রাম্প পরে ঘোষণায় জানান, তিনি ইরানে ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন, যা ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে

ট্রাম্প জানেন এমন কথাও উচ্চারণ করেছেন, ইরানকে “নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ” করতে বলছেন । এই দ্ব্যর্থাচার আন্তর্জাতিক মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। কেলসি ডেভেনপোর্টের মত, কূটনীতি যখন কার্যকর হচ্ছিল, তখন ট্রাম্প সামরিক পথে ফিরে যান, যা ইসরায়েলকে তার এ্যাকশন ধরিয়ে দেয় । একই সময়ে স্কটল্যান্ডের অধ্যাপক আলী আনসারি এবং ফারসিসহ একাধিক বিশ্লেষক মনে করেন, ট্রাম্প ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন, আরও কিছু ক্ষেত্রে হয়তো অনুشدিতও করেছিলেন

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসের কর্তারা উদ্বিগ্ন: তারা সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত না হলেও ট্রাম্প সরকার ইতোমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, লেবানন এবং মিত্র দেশের পক্ষে ফাইটার জেট, ট্যাংকার বিমান ও এক ক্যারিয়ার বিমাননোযান মোতায়েন করেছে । কিন্তু তারা জানিয়েছেন, এগুলো প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ মাত্র

ইসরায়েল নীতিগতভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে—যা তাদের জন্য সাময়িক কৌশলগত মানে রাখেনি । তবে বড় লক্ষ্য—বিশেষ করে ভূগর্ভস্থ ফোর্ডো যেমন স্থাপনায়—সেটি সফল করতে হলে মার্কিন বিনিয়োগ যেমন বিজনিস—ইরাক ঘোষিকাও থাকতে হবে, যা ট্রাম্প এখনও দিতে পারেননি

অন্যদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে সমগ্র পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে—যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক দলে বিভাজন দেখা যাচ্ছে। MAGA (আমেরিকা ফার্স্ট) অনুরাগীদের একটি অংশ ইসরায়েলের প্রতি অনুদানকে প্রশ্ন করছেন

সর্বোপরি, ট্রাম্প কূটনীতি ও সামরিক চাপ—দুটোরই মিশ্রণ তৈরি করেছেন। তবে তার এই অবস্থান আন্তর্জাতিক এবং বিষয়টির পাশে কোথায় দাঁড়াচ্ছে—এ ব্যাপারে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তিনি একদিকে বলেন, তিনি “বিজয়ীদের পাশে থাকতে পছন্দ করেন”, অন্যদিকে তিনি দ্ব্যর্থাভাসপূর্ণ রূপে মিশ্র বার্তা দিচ্ছেন

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫