শিরোনাম :
ইরানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে চায় ইসরায়েল: প্রতিবেদন তেহরানের হৃদয়ে অপারেশন: ইরানের গভীরে ইসরায়েলের নিখুঁত হামলার পেছনের গোয়েন্দা কৌশল উদ্ঘাটন হাইফা বন্দরে ইরানের হামলা: মোদির আদানি খাতায় ‘আগ্নেয়’ ক্ষতির হিসাব শুরু! ১৪ বছরের জর্জ স্টিন্নি: ইতিহাসের নৃশংস বিচারবিভাগীয় হত্যাকাণ্ড ইরান দাবি করল ১৩টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত: যুদ্ধক্ষেত্রের পাল্টা ভারসাম্য না কি মধ্যপ্রাচ্যীয় ভূরাজনীতির নতুন মোড়? মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ-ভূমিতে ইরান-ইসরাইল সংঘর্ষ: কূটনৈতিক চাপ, সামরিক বাস্তবতা ও বাংলাদেশের করণীয় সিলেটে উপদেষ্টা বহর আটকে ক্ষুব্ধ জনতার বিক্ষোভ দেশে ফিরলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস তারেক রহমান ও অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক ঘিরে ভূরাজনৈতিক বার্তা: ভারতের ভূমিকা নিয়ে শঙ্কা ও আঞ্চলিক সমীকরণে নতুন মোড় ইরানের সেনাপতি বাঘেরির হত্যাকাণ্ড: মধ্যপ্রাচ্যে বিস্ফোরণমুখী উত্তেজনা, বিশ্ব কি বৃহৎ যুদ্ধে ধাবিত হচ্ছে?

বোমা হুমকির পর থাইল্যান্ডের ফুকেটে জরুরি অবতরণ করেছে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট

আজকের খবর ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫
  • ৬ বার
বোমা হুমকির পর থাইল্যান্ডের ফুকেটে জরুরি অবতরণ করেছে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট।

প্রকাশ: ১৩ জুন, ২০২৫ | আজকের খবর ডেস্ক | আজকের খবর অনলাইন

ভারতের গুজরাটে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের চাঞ্চল্যকর ঘটনা—এবার এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি। থাইল্যান্ড থেকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিগামী ফ্লাইটটি মাঝ আকাশে বোমাতঙ্কের কারণে ফিরে গিয়ে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। এমন ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করে থাই কর্তৃপক্ষ ও এয়ার ইন্ডিয়া।

রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে থাইল্যান্ডের ফুকেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার AI 379 নম্বর ফ্লাইটটি নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। এয়ারবাসটি যাত্রা শুরু করার কিছু সময় পর, আন্দামান সাগরের আকাশসীমা অতিক্রম করার সময় বিমানটিতে বোমা থাকার সন্দেহ দেখা দেয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় পাইলটরা তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নেন—বিমানটিকে থাইল্যান্ডে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। এরপর ফ্লাইটটি ফুকেট বিমানবন্দরে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করে।

বিমানটিতে মোট ১৫৬ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রীরা আতঙ্কিত হলেও, বিমানটি অবতরণের পর পরই সবাইকে নিরাপদে বের করে আনা হয়। থাইল্যান্ডের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ “এয়ারপোর্টস অব থাইল্যান্ড” (এওটি)-এর তরফে জানানো হয়, বিমানে বোমা থাকার বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পুরো বিমানটিকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি চালায়, এবং শেষপর্যন্ত তাতে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনার আগে ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বেশ কয়েকজন নিহত হন। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বোমাতঙ্কের খবর গোটা দেশকে আরও একবার নাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে এই দুইটি ঘটনা কাছাকাছি সময়ে ঘটায় নিরাপত্তা প্রশ্নে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, এবং এয়ার ইন্ডিয়ার কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

বোমা সংক্রান্ত এই হুমকির পেছনে কী কারণ ছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। থাইল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া, এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা সুরক্ষার বিষয়টি এখন সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে উভয় দেশের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এমন ঘটনায় ভবিষ্যতে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা প্রোটোকল আরও জোরদার করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সর্বোপরি, যাত্রীদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হওয়ায় অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫