প্রকাশ: ২০ জুন, ২০২৫ | আজকের খবর ডেস্ক | আজকের খবর অনলাইন
গ্রীষ্মকালীন দুপুরের তীব্র উত্তাপে শরীরে চরম শীতলতা ও সতেজতা আনতে কাঁঠাল এক উপযোগী ফল। এটি শুধু রসালো ও পুষ্টি-সমৃদ্ধ নয়, বরং উপকারিতার দিক থেকেও অবাক করে দেয়। নিচে কাঁঠালের মূল স্বাস্থ্যগুণগুলো তুলে ধরা হলো:
১. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার বা খাদ্যআঁশ, যা হজমপ্রক্রিয়া সুষ্ঠু রাখে। এটি অন্ত্র পরিষ্কার করে, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে এবং পেটের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। যারা মনে করেন কাঁঠাল খেলে হজমে সমস্যা হয়, তাদের জন্য এটি ভুল ধারণা।
২. পানিশূন্যতা রোধ করে
কাঁঠালের পাকা কোষে প্রায় ৮৯ শতাংশ জলীয় উপাদান থাকে। গরমকালে ঘামে শরীর থেকে যে পানি বেরিয়ে যায়, তা পূরণে কাঁঠাল বিশেষভাবে কার্যকর। এতে থাকা ইলেকট্রোলাইট শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ক্লান্তি ও মাথাব্যথা প্রতিরোধ করে।
৩. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে এবং ঠান্ডা, ভাইরাস, জ্বর ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রদাহ কমাতেও কার্যকর।
৪. ত্বকের যত্নে সহায়ক
কাঁঠালে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের অক্সিডেটিভ চাপ কমায়, যা ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল রাখে। কাঁঠালের জলীয় উপাদান ত্বককে হাইড্রেট রাখে এবং গরমে রুক্ষতা, ব্রণ ও নির্জীব ভাব দূর করে। নিয়মিত খেলে ত্বক হয় নরম ও দীপ্তিময়।
৫. শক্তি বৃদ্ধি করে
এই ফলে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি (সুক্রোজ ও ফ্রুকটোজ), যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও বেশি, যা দীর্ঘ সময় ধরে কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। গরমকালে দ্রুত শক্তি ফিরে পেতে কাঁঠাল বেশ উপযোগী।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
মিষ্টি হলেও কাঁঠালে চর্বি ও ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। এতে থাকা আঁশ পেট ভরিয়ে রাখে, যার ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি একটি স্বাস্থ্যসম্মত ফল হিসেবে কাজ করে।
এই ছিল গ্রীষ্মকালে কাঁঠাল খাওয়ার ৬টি চমকপ্রদ উপকারিতা বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই ফলটি অন্তর্ভুক্ত করে আপনি পেতে পারেন একাধারে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর ফলাফলের আশ্বাস।