শিরোনাম :
ট্রাইব্যুনালে হাজিরি দেন সাবেক আইজিপি মামুন ইরানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে চায় ইসরায়েল: প্রতিবেদন তেহরানের হৃদয়ে অপারেশন: ইরানের গভীরে ইসরায়েলের নিখুঁত হামলার পেছনের গোয়েন্দা কৌশল উদ্ঘাটন হাইফা বন্দরে ইরানের হামলা: মোদির আদানি খাতায় ‘আগ্নেয়’ ক্ষতির হিসাব শুরু! ১৪ বছরের জর্জ স্টিন্নি: ইতিহাসের নৃশংস বিচারবিভাগীয় হত্যাকাণ্ড ইরান দাবি করল ১৩টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত: যুদ্ধক্ষেত্রের পাল্টা ভারসাম্য না কি মধ্যপ্রাচ্যীয় ভূরাজনীতির নতুন মোড়? মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ-ভূমিতে ইরান-ইসরাইল সংঘর্ষ: কূটনৈতিক চাপ, সামরিক বাস্তবতা ও বাংলাদেশের করণীয় সিলেটে উপদেষ্টা বহর আটকে ক্ষুব্ধ জনতার বিক্ষোভ দেশে ফিরলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস তারেক রহমান ও অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক ঘিরে ভূরাজনৈতিক বার্তা: ভারতের ভূমিকা নিয়ে শঙ্কা ও আঞ্চলিক সমীকরণে নতুন মোড়

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে বিএনপির তীব্র প্রতিক্রিয়া: ‘ডিসেম্বরেই নির্বাচন চাই, একজনই বাধা দিচ্ছেন’

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫
  • ১১ বার

প্রকাশ: ৩০শে মে ২০২৫

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন দেশে কেবল একজন ব্যক্তিই চান না। শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস জাপানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের এক বক্তব্যের জবাবে বলেন, “খুব দুঃখের সঙ্গে বলছি, ড. ইউনূস সাহেব জাপানে বসে বিএনপির বদনাম করছেন। দেশের সম্পর্কে বিদেশে বসে এমন মন্তব্য করতে তাঁর লজ্জা হয় না। তিনি বলেছেন, একটি দল নির্বাচন চায়। আমরা বলতে চাই, একজন ব্যক্তি নির্বাচন চান না… তিনি হলেন ড. ইউনূস নিজেই।”

গতকাল জাপানের টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে ৩০তম নিক্কেই ফোরামে ‘ফিউচার অব এশিয়া’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, “আমরা জনগণকে বলেছি, নির্বাচন এই বছরের শেষে ডিসেম্বরে অথবা সর্বোচ্চ জুনে অনুষ্ঠিত হবে।” তবে তিনি এও যোগ করেন যে, দেশের সব রাজনৈতিক দল নয়, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে।

এ প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “বিএনপি সবসময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। এই ডিসেম্বরের প্রস্তাব তো ইউনূস সাহেব নিজেই দিয়েছিলেন। পরে তিনি সেটা পরিবর্তন করে জুনের কথা বলছেন। জুন মাসে নির্বাচন হলে তা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না। যদি সত্যিই নির্বাচন করতে হয়, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যেই করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন না দিতে চাওয়া ইউনূস সাহেবের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমাদের দায়িত্ব নয়। কিন্তু দেশের জনগণ এই নির্বাচন আদায় করবেই… নইলে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা বিপন্ন হবে।”

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সংস্কার কর্মসূচির কথা স্মরণ করে মির্জা আব্বাস বলেন, “বর্তমান সরকার সংস্কারের নামে বিদেশ থেকে পরামর্শক আমদানি করছে। অথচ জিয়াউর রহমান দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গভীর সংস্কার করেছিলেন কোনো বিদেশি সহায়তা ছাড়াই। আজ সরকার সংস্কারের নামে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, তারা নির্বাচনই দিতে চায় না।”

তিনি শহীদ জিয়াকে ‘আধুনিক বাংলাদেশের জনক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “এই শাহাদতবার্ষিকীতে আমরা দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এবং সমগ্র দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে শহীদ রাষ্ট্রপতির রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।”

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় মির্জা আব্বাস দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, সালাহ উদ্দিন আহমদ, এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ অন্যান্য নেতাদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকার পর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং প্রয়াত নেতার আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক মন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। বিএনপি প্রতি বছর এই দিনটি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে ‘শাহাদত দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫