প্রকাশ: ৩০শে মে ২০২৫
ঢাকা: বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান এদেশের ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। তিনি স্বীয় কীর্তিতে অমর ইতিহাসের মহানায়ক হিসেবে বিবেচিত হবেন।
শুক্রবার দুপুরে স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)-এর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রাইভেট ব্যাংকার্স ও ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কaders গনি চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তা ও দৃঢ় নেতৃত্বের গুণাবলি এদেশের গণমানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। তিনি দেশে ঐক্যের রাজনীতি চালু করে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে আসেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন।
তিনি আরও বলেন, শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে দেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছিল। তাঁর গৃহীত নীতিসমূহ আজও বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিক্রমায় প্রাসঙ্গিক। তাঁর আদর্শ ও চিন্তাধারা আমাদের চলার পথের পাথেয় হয়ে থাকবে।
রোকেয়া স্মরণী এলাকায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রাইভেট ব্যাংকার্স ও ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ জায়েদ আল ফাত্তাহ (শেখ সাব্বির), ব্যাংকার এম এ সাঈদ চৌধুরী, শেখ তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, রাইসুল আলম, আলিমুল বিন আজিজ, এইচ এম মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে শহীদ জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে উপস্থিত গরিব-দুঃখী ও সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক সামরিক অভ্যুত্থানে শহীদ হন বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তাঁর শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।