প্রকাশ: ১৭ জুন, ২০২৫ | আজকের খবর ডেস্ক | আজকের খবর অনলাইন
ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণকালের সবচেয়ে নাটকীয় ও অভূতপূর্ব এক ম্যাচের সাক্ষী থাকল স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো। পেশাদার ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো একটি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হলো তিন-তিনটি সুপার ওভার খেলে। এই বিরল ও ঐতিহাসিক ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় নেদারল্যান্ডস ও নেপালের মধ্যে, ছয় ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় খেলায়।
প্রথমে ব্যাট করে নেদারল্যান্ডস করে ২০ ওভারে ১৫২ রান। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নেপালের ব্যাটাররা শেষ ওভারে পৌঁছে যান নাটকের দ্বারপ্রান্তে। জয়ের জন্য শেষ ছয় বলে তাদের দরকার ছিল ১৬ রান। কাইলি ক্লেইনের করা ওই ওভারে তারা নিতে পারেন ১৫ রান। ফলে ম্যাচ গড়ায় প্রথম সুপার ওভারে।
প্রথম সুপার ওভারে নেপালের ব্যাটাররা ড্যানিয়েল ডোরামের ওভারে তোলে ১৯ রান। কিন্তু ডাচ ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড শেষ দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে সমতায় নিয়ে আসেন ম্যাচ, আবারও সুপার ওভার।
দ্বিতীয় সুপার ওভারে নেদারল্যান্ডস করে ১৭ রান। জবাবে নেপাল প্রথম তিন বলে নিয়ে নেয় ১১ রান। তখন মনে হচ্ছিল, হয়তো জয় তাদের কাছেই। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম বল ডট হয়ে যায়। শেষ বলে দীপেন্দ্র সিং ঐরী আবার ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচকে নিয়ে যান তৃতীয় সুপার ওভারে।
তৃতীয় সুপার ওভারে তবে আর কোনো চমক দেখাতে পারেনি নেপাল। ডাচ স্পিনার জ্যাক-লায়ন ক্যাচেট এমন বোলিং করেন যা ম্যাচের গতিপথ একেবারে তাদের দিকে টেনে নেয়। প্রথম চার বলে কোনো রান না দিয়ে তুলে নেন দুইটি উইকেট। রান তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই লামিচানের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের ইতি টানেন ওপেনার মাইকেল লেভিট।
এই নাটকীয় জয় নিশ্চিত করে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। শুধু সিরিজে এগিয়ে যাওয়া নয়, এই ম্যাচটি জায়গা করে নিয়েছে ক্রিকেট ইতিহাসের এক অনন্য স্থানে। এমন উত্তেজনাপূর্ণ, দমবন্ধ করা ম্যাচ বিশ্ব ক্রিকেট আগে কখনো দেখেনি। আর সেই কারণেই গ্লাসগোর এই ম্যাচ হয়ে উঠেছে ক্রিকেট রোমাঞ্চের নতুন প্রতিচ্ছবি।