শিরোনাম :
শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে, দলীয়ভাবেও আওয়ামী লীগের বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল উত্তরের অচেনা বিস্ফোরণ: লেবাননে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় নিহত ৩, আহত ১৩ কারামুক্তির পর পর্দায় ফেরার বার্তা: ‘জ্বীন-৩’ দিয়ে ফিরলেন নুসরাত ফারিয়া জামায়াতের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ চীন সফরে জাতীয় সমাবেশে জামায়াতের বার্তা: ৭ দফা দাবিতে বড় গণসমাবেশের প্রস্তুতি বাস রুট পারমিট নিয়ে ঢাকার পরিবহন খাতে অস্থিরতা, সিদ্ধান্তহীনতায় আরটিসি বরিশালে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, অচল জনজীবন নিঃসঙ্গ জীবনের করুণ পরিণতি: পাকিস্তানে অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের পচনধরা লাশ উদ্ধার ব্যাটিং বিপর্যয়ে সিরিজ হাতছাড়া, হতাশ মিরাজ জানালেন ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা পুনরায় মহাসংঘর্ষ: রিয়াল-পিএসজির দ্বৈরথে আজ ইতিহাস লিখবে কে?

উত্তরা হত্যাযজ্ঞের নেপথ্যে ক্ষমতাবান পুলিশ কর্মকর্তা: দেশে থেকে পালিয়ে গেলেন বিদেশে – বিচারহীনতার রহস্য

আজকের খবর ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
  • ৯৪ বার

প্রকাশ: ১৬ই জুন’ ২০২৫ । আজকের খবর ডেস্ক । আজকের খবর অনলাইন

উত্তরার ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের জড়িত হিসেবে অভিযুক্ত সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা বিভাগ) সুমন কর, যিনি গত জুলাই মাসে ওই এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন, তার বিরুদ্ধে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় সমাজে প্রশ্নের ঝড় উঠেছে। বরং অদ্ভুতভাবে, হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে যতই অভিযুক্ত হন, তার বিরুদ্ধে নাগরিক ও বিচারপদ্ধতির পক্ষ থেকে কোনও চাপ না পড়েই তৎকালীন জেলা প্রশাসক রওনক জাহান তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেন। সেই অনুমতির নথিপত্রও পাওয়া গেছে, যা উঠিয়ে আনছে নানান গুঢ় প্রশ্ন।

যারা হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত হন, যেন তাদেরই বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে চলে গেছে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা। রওনক জাহান কী ভেবে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন, তা স্পষ্ট নয়। অনুমতিপত্র দেখে একটাই ধারণা তৈরি হয়—“যত খুনি পুলিশ কর্মকর্তা” বিদেশ পালানোর প্রথম ধাপ হিসেবে এই প্রশাসনিক অনুমতিকে ব্যবহার করেছে। এ থেকে উদ্ভূত হচ্ছে এক ভয়ানক বাস্তবতা যে, ক্ষমতাধর অথবা রাজনীতিকভাবে সংযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা সহজেই বহির্বিশ্বে পাড়ি জমাচ্ছেন বিচার থেকে পলায়ন করে।

এই ঘটনায় প্রশ্ন হচ্ছে—রাষ্ট্রের নিরপেক্ষতা আর দায়িত্ববোধ কোথায় হারিয়ে গেল? একজন পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি দায়মুক্ত থাকার নাম করে আবার রাষ্ট্রীয় অনুমতি নিয়ে দেশ ছেড়ে যাচ্ছে—তার পেছনে কারা, আর কোন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মিথস্ক্রিয়ায় এই পথ তৈরি হলো? এমনকি একজন ডিসির কাছ থেকে অনুমতি পেলেও, সেই ডিসি কি বিষয়টির কাঠামো, দায়-দায়িত্ব ও ভাবুকতা বুঝতে পারেননি?

একটি তদন্তাধীন ও চলমান মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিদেশ ভ্রমণ অনুমতিদান—এমন ঘটনা হয়তো বাংলাদেশের ইতিহাসেও প্রথমবারের মতো এমন নিরপেেক্ষতা, নির্লজ্জতা ও বিচারহীনতার পুনরাবৃত্তি প্রকট করছে। রাষ্ট্রীয় নির্দেশে স্বয়ং একটি ডিসি, যিনি নিজেকে আইনের ও দায়িত্ববোধের প্রতি দায়বদ্ধ ভাবেন, তারও এমন ব্যবস্থা নেওয়া রাষ্ট্রীয় নীতিগত অপরিপক্কতা ও অব্যবস্থার মুখস্তোত্র তুলে ধরে।

এ ঘটনার উত্তর কোথায়? কাদের পক্ষকে খুঁজে দেখা যাবে—অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার, ডেপুটি কমিশনারের, না সমাজ ও পরিবারে নিঃস্ব হয়েছেন নিহতের পরিজনদের পাশে দাঁড়ানোই রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব? রাষ্ট্র ও আইনি নজরবন্দিতে কতটুকু স্বচ্ছতা থাকবে, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। এই ব্যতিক্রমী ঘটনা হয়তো বিচার ব্যবস্থার স্ববিরোধিতার এক ভয়ানক নমুনা হয়ে ইতিহাসে থেকে যাবে, যদি না আজও কেউ সততা, নৈতিকতা ও দায়বদ্ধতা নিয়ে এগিয়ে না আসে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫