প্রকাশ: ১৬ জুন, ২০২৫ | আজকের খবর ডেস্ক | আজকের খবর অনলাইন
বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানের পর এখন ক্রিকেটার তামিম ইকবালের রাজনীতিতে আগ্রহ নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বিএনপির ‘তারুণ্য উৎসব’ মঞ্চে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই জল্পনা আরও বেড়েছে। তবে নিজের মুখে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তার রাজনীতিতে আসার কোনো আগ্রহ বা পরিকল্পনা নেই। জাতীয় দৈনিক সমকালের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলেছেন এই ক্রিকেট তারকা।
তামিম ইকবাল বলেন, তিনি রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা পুরোপুরি অনুপস্থিত। তবে তিনি রাজনীতিকে নেতিবাচক চোখে দেখেন না। একটি সংগঠক বা ক্রীড়াবিদের মতো একজন রাজনীতিবিদকেও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষ এবং প্রজ্ঞাবান হতে হয়। রাজনীতিতে আসার সুযোগ তার ছিল, কিন্তু সেই পথ অনুসরণ করার কোনও তাগিদ বা প্রয়োজন বোধ করেননি। পাশাপাশি জানান, তিনি মনে করেন নিজের মধ্যে রাজনীতির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নেই।
গত ১০ মে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ অংশ নেন তামিম। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই অনুষ্ঠানে তিনি একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়ে যোগ দিয়েছিলেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়। বক্তৃতার শুরুতেই স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন যে তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন এবং তার বক্তব্যের মূল বিষয় ছিল দেশের ক্রীড়া ও খেলাধুলার উন্নয়ন।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আরও জানান, ভবিষ্যতে কী হবে তা এখনই বলা কঠিন। ২০ বছর পরে পরিস্থিতি কেমন হবে তা কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারে না। তবে এই মুহূর্তে রাজনীতিতে কোনো আগ্রহ বা পরিকল্পনা তার নেই। বর্তমানে তিনি রাজনীতি থেকে দূরে থাকছেন এবং কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই।
তামিমের আকাঙ্ক্ষা হলো দেশের খেলাধুলা অঙ্গনে একজন বিশেষজ্ঞ রাজনৈতিক নেতার দায়িত্ব থাকা, যিনি স্পোর্টসের উন্নয়নের জন্য সঠিক মানুষদের বেছে নেবেন এবং ক্রীড়াবিদদের স্বার্থ রক্ষা করবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তিনি নিজে সেরকম কোনও সঠিক ব্যক্তি নন এবং যাকে দল বা দেশের নেতৃত্ব উপযুক্ত মনে করবে, তিনি তার জন্য অপেক্ষা করবেন।
সর্বোপরি, তামিম ইকবাল রাজনীতিতে সরাসরি প্রবেশ না করলেও দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে রাজনীতিবিদদের গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং আশা প্রকাশ করছেন যে ভবিষ্যতে যারা রাজনীতিতে আসবেন, তারা খেলাধুলার ক্ষেত্রে দক্ষ, সৎ এবং জ্ঞাত নেতৃত্ব প্রদান করবেন। তিনি মনে করেন, দেশের স্পোর্টস উন্নয়নের জন্য ক্রীড়াবিদদের যুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটিই দেশের খেলাধুলার অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি।