শিরোনাম :
শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে, দলীয়ভাবেও আওয়ামী লীগের বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল উত্তরের অচেনা বিস্ফোরণ: লেবাননে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় নিহত ৩, আহত ১৩ কারামুক্তির পর পর্দায় ফেরার বার্তা: ‘জ্বীন-৩’ দিয়ে ফিরলেন নুসরাত ফারিয়া জামায়াতের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ চীন সফরে জাতীয় সমাবেশে জামায়াতের বার্তা: ৭ দফা দাবিতে বড় গণসমাবেশের প্রস্তুতি বাস রুট পারমিট নিয়ে ঢাকার পরিবহন খাতে অস্থিরতা, সিদ্ধান্তহীনতায় আরটিসি বরিশালে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, অচল জনজীবন নিঃসঙ্গ জীবনের করুণ পরিণতি: পাকিস্তানে অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের পচনধরা লাশ উদ্ধার ব্যাটিং বিপর্যয়ে সিরিজ হাতছাড়া, হতাশ মিরাজ জানালেন ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা পুনরায় মহাসংঘর্ষ: রিয়াল-পিএসজির দ্বৈরথে আজ ইতিহাস লিখবে কে?

মির্জা ফখরুল জানালেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত

আজকের খবর ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫
  • ১৪ বার
মির্জা ফখরুল জানালেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১৩ জুন, ২০২৫ | আজকের খবর ডেস্ক | আজকের খবর অনলাইন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি দলীয় রাজনীতির গতিপথে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় তৈরি করেছে। তিনি এই বৈঠককে ‘একটি সত্যিকার টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

আজ শুক্রবার (১৩ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘লন্ডনের ওই আলোচনায় আমরা অত্যন্ত আশাবাদী ও ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছি। বৈঠকের পর একটি যৌথ ঘোষণা এসেছে, যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে— বৈঠকটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি জানান, বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন। এই প্রসঙ্গে তারেক রহমান বৈঠকে প্রস্তাব দেন, এপ্রিল মাসে নির্বাচন আয়োজনের যে সম্ভাব্য তারিখ দেওয়া হয়েছিল, তা পরিবর্তন করে আরও আগেভাগে— অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে— নির্বাচন আয়োজন করা হোক। প্রধান উপদেষ্টা এই প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশ করেছেন এবং সেই অনুযায়ী আগামী নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে যে, এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমাদের জাতীয় রাজনৈতিক গতিপথে নতুন গতি এসেছে। দুই নেতা দেখিয়েছেন, দেশের স্বার্থে সকল মতপার্থক্য দূরে রেখে একযোগে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই বৈঠক ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা দিয়েছে। এটি শুধু নির্বাচন নয়, বরং জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।’

মির্জা ফখরুল আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনের পথ সুগম হবে এবং জাতি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে দলের অভ্যন্তরীণ নীতিনির্ধারণে দৃঢ়তা এসেছে এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে দল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।

প্রসঙ্গত, তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন এবং দলীয় নানা কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক যোগাযোগে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। অন্যদিকে ড. ইউনূসকেও বিএনপি সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে পরামর্শমূলক দায়িত্ব দিয়েছেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি সব সময় গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও জনআস্থার ভিত্তিতে রাজনীতি করে এসেছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই সিদ্ধান্ত জাতিকে নতুন আশা ও পথ দেখাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫