প্রকাশ: ১৯ জুন, ২০২৫ | আজকের খবর ডেস্ক | আজকের খবর অনলাইন
বিশ্ব ফুটবলে ঐতিহ্যবাহী এবং সাফল্যে ভরপুর ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাব বিশ্বকাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের বিরুদ্ধে হোঁচট খেয়েছে। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে সৌদি প্রো লিগ ও স্প্যানিশ লা লিগার মধ্যে পারফরম্যান্সের ব্যবধান। যদিও কাগজে-কলমে রিয়াল অনেক এগিয়ে, তবে মাঠের লড়াইয়ে আল হিলাল প্রমাণ করেছে তাদের সক্ষমতা।
বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মায়ামি গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি শুরু থেকেই জমজমাট ছিল। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে আক্রমণে এগিয়ে ছিল আল হিলাল। দ্বিতীয় মিনিটেই সার্গেই মিলিনকোভিচ-সাভিচের নেওয়া এক দুর্দান্ত শট দুর্ভেদ্য কিপার থিবো কোর্তোয়া অসাধারণ দক্ষতায় রুখে দেন। তবে ধীরে ধীরে রিয়াল নিজেদের গুছিয়ে নেয় এবং ৩২তম মিনিটে রদ্রিগোর কাছ থেকে পাওয়া এক নিখুঁত পাসে গঞ্জালো গার্সিয়া গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন।
তবে তাদের এই লিড বেশিক্ষণ টেকেনি। ৪১ মিনিটে আল হিলালের লিওনার্দো ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। রুবেন নেভেস নির্ভুল শটে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। প্রথমার্ধেই হয়ে যায় ম্যাচের দুটি গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই বেশ কিছু সম্ভাবনাময় আক্রমণ করলেও গোল পায়নি কেউ। ৮৭তম মিনিটে রিয়ালের গার্সিয়া বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সহায়তায় রেফারি আবারও পেনাল্টি দেন রিয়ালকে। তবে রিয়ালের তারকা ভিনিসিউস, রদ্রিগো ও বেলিংহ্যামকে তুলে নেওয়ায় পেনাল্টি শট নিতে আসেন ফেদেরিকো ভালভার্দে। দুর্ভাগ্যবশত, তার দুর্বল শট আল হিলালের মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো সহজেই আটকে দেন।
এই ম্যাচটি রিয়ালের জন্য এক রকম হতাশার হলেও সৌদি ক্লাব আল হিলালের জন্য ছিল মর্যাদাপূর্ণ। ম্যাচটি প্রমাণ করেছে, সৌদি প্রো লিগের দলগুলোও এখন আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফুটবল খেলতে সক্ষম এবং ইউরোপের বড় দলের সঙ্গে সমানে লড়াই করতে পারে।
ফরাসি সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় রিয়ালের মূল দলে ছিলেন না, যা তাদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল। যদিও মাঠে বল দখল ও অভিজ্ঞতার দিক থেকে রিয়াল এগিয়ে ছিল, তবে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়াই ড্রয়ের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এই ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের হতাশা যেমন স্পষ্ট, তেমনি ফুটবলবিশ্বের কাছে বার্তা দিয়েছে—সৌদি আরবের ফুটবলকে আর হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং লিগ কাঠামোর উন্নয়নে সৌদি আরব এখন অনেকটাই এগিয়ে গেছে।