শিরোনাম :
আকাশ ভেঙে আগুনের ঝরাপাত — ১৮৩৩ সালের সেই অলৌকিক উল্কাবৃষ্টি যেভাবে বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে নাড়া দিয়েছিল “শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে খুঁজে পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ” উত্তরা হত্যাযজ্ঞের নেপথ্যে ক্ষমতাবান পুলিশ কর্মকর্তা: দেশে থেকে পালিয়ে গেলেন বিদেশে – বিচারহীনতার রহস্য তামিম ইকবাল রাজনীতিতে যাত্রা শুরু নিয়ে যা বললেন নগরভবনে মেয়র ইশরাকের সভা অনুষ্ঠিত, তিনি পেলেন শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯০ জন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো ইরান, ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা নয় হজযাত্রী নিয়ে ভারতে উড়োজাহাজের চাকার সমস্যা, বের হলো ধোঁয়া ও আগুনের ফুলকি ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাথে বৈঠকে মির্জা ফখরুল ট্রাইব্যুনালে হাজিরি দেন সাবেক আইজিপি মামুন

খাল পরিষ্কারে ক্রেডিট বিতর্ক: চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াতের পাল্টাপাল্টি অবস্থান

আজকের খবর ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫
  • ২৮ বার

প্রকাশ: ৩রা জুন’ ২০২৫ । আজকের খবর ডেস্ক । আজকের খবর অনলাইন

চট্টগ্রামের বির্জা খাল সম্প্রতি পরিচ্ছন্ন করার পর আবারও আবর্জনায় সয়লাব হয়ে উঠেছে। কয়েক দিনের টানা বর্ষণে নতুন করে প্লাস্টিক বোতল ও অন্যান্য আবর্জনা এসে খালের শেষ প্রান্তে জমা হয়েছে। এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে বিএনপি নেতা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সম্ভাব্য মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন মঙ্গলবার বৃষ্টির মধ্যেই সাংবাদিকদের নিয়ে খাল পরিদর্শনে যান এবং একটি সংবাদ চিত্র তৈরি করেন। এই ঘটনাকে অনেকে রাজনৈতিক সিনক্রিয়েশন হিসেবে দেখছেন।

চট্টগ্রামে খাল খননের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর একটি অংশ দাবি করেছে, তারা দলীয় উদ্যোগে যেটুকু কাজ করেছে, সেটি কোনো ধরনের সরকারী সহায়তা ছাড়াই করা হয়েছে এবং এটি সংগঠন হিসেবে জামায়াতের একটি বড় অর্জন। জামায়াতের স্থানীয় নেতা শাহজাহান চৌধুরী দাবি করেছেন, সংগঠন থেকে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় করে খালের একটি বড় অংশ পরিষ্কার করেছেন, যা দলীয় তহবিল থেকে পরিচালিত হয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপি নেতার খাল পরিদর্শন নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শাহাদাত হোসেন যদি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে খাল পরিস্কারের উদ্যোগ নিতেন এবং তা সরকারি বাজেট থেকেই বাস্তবায়ন হতো, তাহলে তা ব্যক্তিগত বা দলীয় কৃতিত্ব হিসেবে দেখানো একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয়। সরকারী অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে তার ব্যক্তি বা দলের কোনো আর্থিক অবদান না থাকলেও তিনি সেটিকে দলীয় প্রচারের অংশ হিসেবে ব্যবহার করছেন, যা নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি সংগঠন যদি নিজস্ব তহবিল থেকে জনসেবামূলক কাজ করে, তবে সেটি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। সেখানে স্বেচ্ছাশ্রম, আর্থিক অবদান ও সাংগঠনিক প্রচেষ্টার একটি প্রতীকী মূল্য রয়েছে। অন্যদিকে, সরকারী অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোতে দলের প্রচারমূলক ব্যবহার রাজনৈতিক সচ্ছতার পরিপন্থী।

এই ঘটনায় আবারও প্রমাণ হলো, চট্টগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের সমস্যা এখনো কতটা বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। একইসাথে স্থানীয় রাজনীতিতেও জলাবদ্ধতা সমস্যা এখন একটি কেন্দ্রীয় ইস্যুতে রূপ নিয়েছে, যেখানে কৃতিত্ব ও দায়ভার নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নগর রাজনীতি।

জনসচেতনতার পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও স্বচ্ছতা ছাড়া চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন শুধু খাল পরিস্কারে সীমাবদ্ধ থাকবে না—বরং তা হতে হবে একটি টেকসই সমাধানের অংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫