শিরোনাম :
শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে, দলীয়ভাবেও আওয়ামী লীগের বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল উত্তরের অচেনা বিস্ফোরণ: লেবাননে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় নিহত ৩, আহত ১৩ কারামুক্তির পর পর্দায় ফেরার বার্তা: ‘জ্বীন-৩’ দিয়ে ফিরলেন নুসরাত ফারিয়া জামায়াতের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ চীন সফরে জাতীয় সমাবেশে জামায়াতের বার্তা: ৭ দফা দাবিতে বড় গণসমাবেশের প্রস্তুতি বাস রুট পারমিট নিয়ে ঢাকার পরিবহন খাতে অস্থিরতা, সিদ্ধান্তহীনতায় আরটিসি বরিশালে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, অচল জনজীবন নিঃসঙ্গ জীবনের করুণ পরিণতি: পাকিস্তানে অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের পচনধরা লাশ উদ্ধার ব্যাটিং বিপর্যয়ে সিরিজ হাতছাড়া, হতাশ মিরাজ জানালেন ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা পুনরায় মহাসংঘর্ষ: রিয়াল-পিএসজির দ্বৈরথে আজ ইতিহাস লিখবে কে?

সরকার ও বিএনপির মধ্যকার দূরত্ব কমে গেছে

আজকের খবর ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
  • ২২ বার
সরকার ও বিএনপির মধ্যকার ফাসল কমে গেছে

প্রকাশ: ১৮ জুন, ২০২৫ | আজকের খবর ডেস্ক | আজকের খবর অনলাইন

বিএনপি মনে করছে, নানা বিষয়ের কারণে যে দূরত্ব ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে, তা লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মিটে গেছে। এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তারেক রহমান তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে আস্থার সঞ্চার করেছেন। সোমবার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয় আলোচিত হয়েছে বলে দলের কয়েকজন নেতা জানান।

তবে ড. ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে আলোচনা করা বিষয়াবলি নিয়ে তারেক রহমান বা স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যরা বিস্তারিত কিছু জানাননি। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে দেশে জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং সেটি যেন হাতছাড়া না হয়।

বৈঠকে ঢাকায় তুমুল সমালোচনার মুখে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইশরাক হোসেনের আন্দোলন নিয়ে নেতারা পক্ষে ও বিপক্ষে মত দেন, তবে অধিকাংশের ধারণা নির্বাচনের ব্যাপারে ফলপ্রসূ আলোচনার পর ইশরাককে এই আন্দোলন থেকে সরে আসা উচিত। যদিও এ বিষয়ে বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন নেতা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে ইশরাক হোসেনকে ডেকে নেওয়া হয় এবং দলের উচ্চপদস্থ নেতাদের সঙ্গে কথা বলা হয়, তবে কী আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। বৈঠকে নেতারা সতর্কতার সঙ্গে অবস্থান গ্রহণ ও সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার ব্যাপারে আলোচনা করেন। তারা মনে করেন, সরকার আসলে কী করতে চাচ্ছে, তা সময়ই বলে দেবে।

লন্ডন বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। বৈঠকে লন্ডন বৈঠকের পাশাপাশি ইশরাকের শপথ ইস্যু ও জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং নির্বাচন ইস্যুতে ইতিবাচক অগ্রগতি হওয়ার প্রেক্ষাপটে অনেক নেতাই মনে করেন, ইশরাকের আন্দোলন অব্যাহত থাকলে তা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে পারে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, শপথ ইস্যুতে দলের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, এটি ইশরাক নিজের উদ্যোগে পরিচালিত।

বৈঠকের সূত্র মতে, লন্ডন বৈঠকের পর সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব অনেকটাই কমেছে। দল মনে করে, এই বৈঠক দেশজুড়ে জাতীয় নির্বাচন আনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বৈঠকটি পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ফলপ্রসূ হয়েছে, যার জন্য দলের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানানো হয়।

জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় বলা হয়, এই বৈঠকে তারেক রহমান দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ও দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, লন্ডন বৈঠককে তারা ইতিবাচক হিসেবে দেখে এবং নির্বাচন অংশগ্রহণের প্রস্তুতি, সাংগঠনিক কাজ ত্বরান্বিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

গত শুক্রবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অংশ নেন। বৈঠকের পর দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ২০২৬ সালের রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে, তবে সে জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচারে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করা আবশ্যক।

এই আলোচনার মাধ্যমে বিএনপি ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে নির্বাচনী ইস্যুতে টানাপোড়েনের অবসান ঘটেছে এবং আশা করা হচ্ছে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫